در ادامه ترجمه مجموعه داستانهای «کتاب یک صفحهای» نوشته مهدی میرعظیمی به زبانهای عربی، تاجیکی و قزاقی، که با استقبال بسیار خوبی همراه بود و چاپ گسترده آن در قزاقستان موفقیتآمیز بود، اکنون توافقی برای ترجمه این کتاب به زبان بنگلادشی نیز انجام شده است.
دکتر محمد ممیت رشید، رئیس بخش ادبیات دانشگاه داکا، با اشاره به پیشینه فرهنگی مشترک ایران و بنگلادش گفت: «زبان بنگالی، با بیش از ۲۷۰ میلیون گویشور، یکی از مهمترین زبانهای دنیا است. گویشوران این زبان عمدتاً در بنگلادش و برخی ایالت های هند زندگی میکنند و در کشورهای دیگر از جمله انگلستان، آمریکا، مالزی و کشورهای خاورمیانه نیز پراکندهاند. مردم بنگلادش از دیرباز علاقهمند به فرهنگ و ادبیات ایران بودهاند و از آنجا که زبان فارسی قبلا به عنوان زبان رسمی در این منطقه بوده است و تقریبا 635 سال به عنوان زبان رسمی مورد استفاده قرار می گرفته، این پروژه میتواند پل تازهای برای گسترش این ارتباطات باشد.»
مهدی میرعظیمی، ایدهپرداز، نویسنده و ناشر «کتاب یک صفحهای»، با ابراز خوشحالی از آغاز این پروژه گفت: «هدف اصلی این مجموعه، ارائه داستانهای کوتاه و الهامبخش برای همه گروههای سنی و فرهنگی است. کتاب یک صفحهای با ساختار آموزشی و تربیتی خود به گسترش مهارتهای زندگی، سواد مالی و فرهنگ شهروندی کمک میکند.»
وی همچنین افزود: «انتشارات یک صفحهای آمادگی دارد تا با مؤسسات نشر و توزیع در کشور بنگلادش همکاری کند و امیدواریم این همکاریها به گسترش زبان و ادبیات فارسی و معرفی فرهنگ ایرانی منجر شود.»
معرفی گروه زبان و ادبیات فارسی دانشگاه داکا
گروه زبان و ادبیات فارسی دانشگاه داکا در سال ۱۹۲۱ بنیانگذاری شد و از سال ۲۰۰۶ بهعنوان یک بخش مستقل فعالیت میکند. این گروه در مقاطع کارشناسی، کارشناسی ارشد و دکترا دانشجو میپذیرد. وجود کتابخانهای مجهز و اتاق مطالعات ایران با حمایت دولت ایران، بستر مناسبی برای پژوهشهای علمی ایجاد کرده است. این گروه علاوه بر برگزاری برنامههای آموزشی، از دانشجویان ممتاز حمایت کرده و امکان ادامه تحصیل آنان در ایران را فراهم میکند.
‘কেতা’বে ইয়েক ছাফহে-ই’ (শত পৃষ্ঠার শত গল্প) বাংলায় অনুবাদের সূচনা
‘কেতা’বে ইয়েক ছাফহে-ই’ (শত পৃষ্ঠার শত গল্প) লেখক মাহদি মির আজিমির ফারসি ভাষায় লিখিত ছোটগল্পের একটি সিরিজ; যা পূর্বে আরবি, তাজিক এবং কাজাখ ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আরবি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে ২৬ টি আরবিভাষী দেশে এর পাঠক তৈরি হয়েছে। বইটি তাজিকিস্তান ও কাজাখস্তানে বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে, এবার এটি বাংলা ভাষায় অনুবাদের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান ড. মুমিত আল রশিদ বইটি বাংলায় অনুবাদ করছেন। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী ২৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভাষায় পরিণত করেছে। বাংলা ভাষাভাষীরা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বসবাস করে এবং ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে। ইরান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে দীর্ঘ দিনের বন্ধন রয়েছে এবং এই প্রকল্পটি এই সংযোগগুলি আরও প্রসারিত করার একটি সেতু হতে পারে”।
‘শত পৃষ্ঠার শত গল্প’ বইটির লেখক মাহদি মির আজিমি ছোটগল্পের এক পৃষ্ঠার এই বইটির ধারণা প্রদানকারী, লেখক এবং প্রকাশক। এই প্রকল্পটি শুরু হওয়ার বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, “এই সিরিজের মূল লক্ষ্য হলো সব বয়স এবং সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর জন্য সংক্ষিপ্ত এবং অনুপ্রেরণামূলক গল্প প্রদান করা। ‘কেতা’বে ইয়েক ছাফহে-ই’ (শত পৃষ্ঠার শত গল্প)-এর শিক্ষামূলক ও নৈতিক কাঠামো, জীবনমান উন্নয়ন দক্ষতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং নাগরিক সংস্কৃতি প্রসারে সাহায্য করবে”।
তিনি আরও যুক্ত করেন, “‘কেতা’বে ইয়েক ছাফহে-ই’ (শত পৃষ্ঠার শত গল্প) অনুবাদ বইটি বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা এবং বিতরণ প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। আমরা আশা করছি এই সহযোগিতাগুলো ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের সম্প্রসারণ এবং ইরানি সংস্কৃতি পরিচিত করতে সাহায্য করবে”।